১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করল উত্তর কোরিয়া। সোমবার দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে গত বছর সেনা পাঠিয়েছে তারা।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল যে, উত্তর কোরিয়া ২০২৩ সালের শীতের আগে ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠিয়েছিল। এতদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়া, তবে সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার মিলিটারি কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার আওতায় কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে অন্য দেশ সামরিক সাহায্য করবে। কিম জং উন বলেন, "ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে কোরিয়ার সেনা।"
এদিকে, রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দেওয়ার পর উত্তর কোরিয়া তাদের সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কতজন নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এখনও কিছু জানায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, রাশিয়ায় প্রায় চার হাজার উত্তর কোরীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন, এরপর আরও তিন হাজার সেনা পাঠানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চলে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে।